image
Image

Share Article:

Productive Life

নতুন বছরের পরিকল্পনা ধরে রাখার উপায়

নতুন বছরের পরিকল্পনা ধরে রাখার উপায়

 

সাফল্যের স্বর্ণদুয়ারে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজন সময়ের যথার্থ ব্যবহার ও সুন্দর

পরিকল্পনা।

পরিকল্পনা হলো যে কোন কাজের দরজা। বলা হয়ে থাকে “যদি আমরা পরিকল্পনা করতে ব্যর্থ হই, তাহলে আমরা ব্যর্থ হওয়ার পরিকল্পনায় গ্রহণ করলাম”। আবার “পরিকল্পনা বিহীন কাজ মানেই উদ্দেশ্যবিহীন কাজ”।

 

নতুন বছরের শুরুতে আমরা নানান রকম পরিকল্পনা নিয়ে বছর শুরু করি কিন্তু দেখা যায় কয়েকদিন যাওয়ার পরেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজগুলোর গতি কমে আসে এবং কিছুদিনের মধ্যেই সব পরিকল্পনা স্থবির হয়ে যায়।

 

আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ স্ক্র‍্যান্টনের একটি গবেষণা দেখা গেছে নতুন বছর শুরু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই ২৩ শতাংশ মানুষ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের খেই হারিয়ে ফেলে। এর পেছনে কতগুলো কারণ রয়েছে যেমন;

 

অবাস্তব পরিকল্পনা : কাজের উদ্দেশ্য নির্ধারণ না করে কোন পরিকল্পনা করলে তা লক্ষ্য অর্জনের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। লক্ষ গুলিকে বাস্তবতার সাথে সারিবদ্ধ করে কার্যকর পরিকল্পনার অভাবে কিছুদিন পরেই সে কাজের আগ্রহ হারিয়ে যায়।

 

সঠিক পরিকল্পনার অভাব : কোন কাজ শুরু করার আগে ধারাবাহিকভাবে কাজের সঠিক পরিকল্পনা না করে ছন্নছাড়া কাজ করলে কিছুদিন পরেই সে কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যায় এবং প্রচেষ্টা শুরুর কিছুদিন পরেই কাজের গতি কমে যায়। :

 

ধৈর্যের অভাব : কেও যদি কোন কাজ শুরু করার সাত দিন কিংবা এক মাসের মধ্যেই তার সুফল প্রত্যাশা করে এবং প্রত্যাশা অনুযায়ী ফিডব্যাক না পেলে তখন ধৈর্য হারিয়ে ফেলে তখন কাজের গতি কমে যায় কিন্তু বড় কোন সফলতা কখনোই রাতারাতি অর্জন করা যায় না।

 

চলুন জেনে নেওয়া যাক সারা বছর ধরে নতুন বছরের রেজোলিউশন ধরে রাখার কিছু কৌশল :

 

১. শুরুতেই কাজের লক্ষ নির্ধারণ করতে হবে এমন ভাবে যে আপনি কেন, কিভাবে, কোথায় পরিকল্পনা করলে সফল হতে পারবেন। যেমন ধরুন,নতুন বছরে আপনি নিজের কোন একটি অভ্যাস পরিবর্তন করার সংকল্প গ্রহণ করেছেন যা আপনার জীবনযাত্রাকে সহজ করবে। সে ক্ষেত্রে শুরুতেই যদি আপনি এর উদ্দেশ্য কি? কেন আপনি পরিবর্তন আনতে চাচ্ছেন? কিভাবে কাজ করলে দ্রুত ফল পাবেন এবং কোথায় পরিকল্পনা করলে সফল হবেন এভাবে একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারেন তাহলে আপনার কাজ করতে সুবিধা হবে।

 

 

২.বছরের শুরুতে রাতারাতি জীবনের সবকিছু বদলে যাবে এমন আশা না রেখে ধারাবাহিকভাবে কাজের পরিকল্পনা সাজাতে হবে। ছোট ছোট কাজ দিয়ে শুরু করা যেতে পারে ফলে ধাপে ধাপে ধারাবাহিক পদক্ষেপগুলো আপনাকে লক্ষ্য অর্জনের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে।

 

৩. লক্ষ্য নির্ধারণ অনুযায়ী কাজের পর্যবেক্ষণ খুবই জরুরী কারণ কাজের ত্রুটি কিংবা সাফল্য যাই হোক না কেন সঠিক পর্যবেক্ষণের অভাবে পরিকল্পনা বেশি দূর আগায় না। সারা বছরে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর কাজের উন্নতি কিংবা অবনতি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করলে সেটা অনুপ্রাণিত করে সামনে এগিয়ে যেতে।

 

৪. ছোট ছোট সাফল্য উদযাপন করা খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। যেকোনো সফলতার স্বীকৃতি পেলে তা পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে তাই লক্ষ্যের দিকে এক ধাপ এগিয়ে গেলে সেটা উদযাপন করুন।

 

৫. লক্ষ অর্জনের জন্য একা সব কিছু করে ফেলতে হবে এমনটা নয় প্রয়োজনে আপনার সমমনা ব্যক্তির কাছে তাদের অভিজ্ঞতা থেকে পরামর্শ এবং সহযোগিতা নিতে পারেন। পাশাপাশি আপনার মতাদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক ব্যক্তিদের থেকে কিছুটা দূরে থাকাও আপনার লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে। যেমন আপনি যদি ধূমপানের অভ্যাস পরিত্যাগ করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে ধূমপায়ী ব্যক্তির সাথে সঙ্গ সীমিত করতে হবে।

 

৬. আপনার পরিকল্পনা অনুযায়ী রাতারাতি সবকিছু পেয়ে যাবেন এমন অতিরিক্ত প্রত্যাশা রাখবেন না কারণ সফলতা আসতে সময় লাগে। ধৈর্য এবং অধ্যাবসায় আপনাকে লক্ষ্য অর্জনের চূড়ায় নিয়ে যাবে এই দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে কাজের সাথে লেগে থাকুন।

 

৭. পরিকল্পনা অনুযায়ী সব সময় সব কাজে সফল হবেন এমন মনোভাব ত্যাগ করুন। কোন কাজে ব্যর্থ হলে হতাশ না হয়ে বরং নতুন সম্ভাবনার পথ খুঁজুন। মনে রাখবেন জীবনে যখন কোন সমস্যা আসে তখন অনেকগুলো সম্ভাবনার পথ সাথে নিয়ে আসে। সেই সম্ভাবনা গুলো যদি আপনি খুঁজে বের করতে পারেন এবং সেই পথে আগাতে পারেন তবে আপনার লক্ষ্য অর্জনের চুঁড়ায় পৌঁছানো কেউ আটকাতে পারবেনা।

Farzana Yeasmin

Wed, 01 Jan 2025
More Blogs
Our Books
Upcomig Mind Trainings